মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘিরে তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা। চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির বিজিপি আরও ৬৩ সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আজ বুধবার(৭’ই ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ নিয়ে দেশটি থেকে আসা বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২৭। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উখিয়ার রহমতের বিল ও ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। এতে তুমব্রু এলাকায় ছৈয়দ আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা আহত হন।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে বিদ্রোহী ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হয়ে উঠেছে। একের পর এক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক বাহিনী। লড়াইয়ের আঁচ লাগছে সীমান্তের এপারে বাংলাদেশেও। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার উখিয়ায় আহত হয়েছেন সাতজন। হতাহতের ঘটনার পর থেকেই সীমান্ত এলাকার মানুষ সরে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায়। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যরা। এ অবস্থায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সতর্ক করে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার।

সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের অনেক এলাকা দখল করেছে। কয়েক মাস আগে তারা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিপির সব ফাঁড়ি দখল করে নেয়। তবে তুমব্রু সীমান্তের ঠিক ওপারে বিজিপির আরও একটি ক্যাম্প আছে, যেটি ‘রাইট ক্যাম্প’ নামে পরিচিত। আরাকান আর্মি এখন সেটি দখলের চেষ্টা করছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে