কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার। আলু, পেঁয়াজ, ডিমে সরকারের বেঁধে দেয়া দাম কার্যকরই হচ্ছে না। এরমধ্যে নতুন করে বেড়েছে মাছ ও মুরগীসহ সব ধরনের সবজির দাম। এমন অবস্থায় দিশেহারা ক্রেতারা। এদিকে, সরকারি দামে ট্রাকে ডিম বিক্রিতে চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে, নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতার স্বীকার করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানালেন, মজুদদারদের আইনের আওতায় আনা হবে।

অভিযান আর জরিমানা করেও কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামবৃদ্ধি ঠেকানো যাচ্ছে না। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় অসহায় ক্রেতারা। শিম, চিচিঙ্গাসহ কোন সবজিই মিলছে না কেজিতে ৮০ টাকার নিচে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। পরিবহণ খরচ বাড়ার অজুহাতে বেড়েছে মুরগীর দামও। ব্রয়লার মুরগী কেজিতে ২শ’ আর সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা কেজিতে। কম সরবরাহের অজুহাতে বেড়েছে মাছের দাম।

সরকারি দামের তোয়াক্কা করছে না ডিম ব্যবসায়ীরা। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। একই অবস্থা আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও। আলু প্রতি কেজি ৪৬ এবং দেশি ৮৬ ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিতে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই তিন পণ্যের দামে অস্থিরতার কথা স্বীকার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এজন্য মজুদদারদের শাস্তির আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন সংস্থার মহাপরিচালক।

এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাকের মাধ্যমে সরকারি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। প্রতি পিছ ১২টাকা হওয়ায় একেকজন দুই থেকে তিন ডজন করে কিনে নিচ্ছেন ডিম। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিটি বাজারে স্টল করে সরকারি দামে ডিম বিক্রির দাবি সাধারণ মানুষের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে