সময়মতো রপ্তানির অর্থ দেশে না আসায় টান পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সবশেষ অর্থবছরে ৫৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছিল। তবে বিপরীতে দেশে এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) প্রেসিডেন্ট সেলিম আর. এফ. হোসেন জানান, ডলারের দর বাড়ানো হলেও হুন্ডি বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কিছুটা হলেও চাপে পড়বে তারল্যের ওপর।

সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহও কমেছে। ফলে কোনোভাবেই রিজার্ভ বাড়ানো যাচ্ছে না। বরং আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রতি মাসেই কমছে। ২০২৩ সালে মাসে রিজার্ভ থেকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার করে কমছে। আমদানি ব্যয়ে লাগাম টেনেও পতন ঠেকানো যাচ্ছে না।

ব্যাংকে সংকট থাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের জরুরি ক্রয় এবং বকেয়া বিল পরিশোধে রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। এতে পুরো অর্থনীতি নাজুক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের মোট রিজার্ভ রেকর্ড ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পৌঁছে। পরে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এতে বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে আমদানি ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়। সেই থেকে দেশের বিদেশি মুদ্রার মজুত কমছে। গত বৃহস্পতিবার তা দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলারে। এ দিয়ে সাড়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে