রাজধানীর গুলশান ও বনানী লেক মশার প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। অভিজাত এই এলাকায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। এসব এলাকায় এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের তেমন কোন উদ্যোগ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা ও সিটি করপোরেশনের ওষুধের কার্যকরিতা পরীক্ষা করতে হবে।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানী লেক এখন মশার নিরাপদ প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে। ময়লা আবর্জনা আছেই। লেকের আশাপাশের বাড়ি ও ভবনগুলোর বাসিন্দারা মশার উপদ্রবে অতীষ্ঠ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মশা মারতে কিংবা ময়লা পরিস্কারে সিটি করপোরেশনের কোন তৎপরতা দেখা যায় না। গুলশান-বনানী লেক ছাড়াও রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় এখন মশার উপদ্রব। অসময়ে মশা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অবহেলা আর নিম্নমানের ওষুধ ছিটানোর জন্যই মশার উৎপাত বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা মারার ওষুধের কার্যকরিতাও কমে গেছে। এজন্য বর্তমানে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ও প্রয়োজনে নতুন ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন এই কীট তত্ত্ববিদ। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার সব ওয়ার্ডে অভিযান জোরদারের আহবান জানান বিশেষজ্ঞরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে