বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে দু’দেশের গণমাধ্যম। সেই লক্ষ্যে ঢাকায় তিনদিনের বাংলাদেশ-ভারত মিডিয়া সংলাপের আয়োজন করে ইনিস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল এবং ডেভেলপমেন্ট- আইসিএলডিএস। অংশ নেন দু’দেশের পঞ্চাশ জনেরও বেশী গণমাধ্যমকর্মী।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশে ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানালেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বিশিষ্টজনেরা। ঢাকায় শুরু হওয়া বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া মিডিয়া ডায়ালগ- এ এই আহবান জানান তারা। সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে তিনদিনের এই সংলাপের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সন্ধ্যায় সংলাপের উদ্বোধনীতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন বিশিষ্টজনেরা। বলেন, দু’দেশের গণমাধ্যমই পারে বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ককে কার্যকর রূপ দিতে। এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, সা¤প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে কাজ করলে উপকৃত হবে দুই দেশই। দু’ দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সংবাদকর্মীদের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে যেভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে সে অবদানের কথা স্মরণ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব ১৯৭১ সাল থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের পাঁচ হাজারেরও বেশি সৈনিক আত্মাহুতি দিয়েছে, সর্বাঙ্গীন সহায়তা দিয়েছে। তিনি অতীতের মতো ভারত ও বাংলাদেশকে পরস্পরের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ সময় তিনি দুদেশের মধ্যে বিরাজমান ধর্মীয় সন্ত্রাস, সীমান্ত সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন।
আইসিএলডিএসের অন্যতম পরিচালক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিএলডিএসের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির। স্বাগত বক্তৃতা করেন দিল্লি প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
নোমান রহমান, বিডি টাইম্স নিউজ