বৈদেশিক বাণিজ্যে চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি বেড়েই চলেছে। গত চার মাসে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৩১ কোটি ডলারে। জ্বালানি তেলের দাম এবং আমদানি খরচ বাড়াই এর কারণ, বলছেন বিশ্লেষকেরা। তবে, আমদানির নামে অর্থপাচার হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মত তাদের।
চার মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ। আর রপ্তানি আয় বেড়েছে মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ। আবার রেমিট্যান্স প্রবাহেও ধীরগতি। ফলে চলতি হিসাবে ঘাটতিও বাড়ছে। ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। ফলে বৈদেশিক দায় পরিশোধে বেগ পেতে হয়নি সরকারকে। গত অর্থবছরে ঘাটতি ছিলো ১৪৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের এর পরিমাণ ৩৩১ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৫ গুণ বেশি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমবে। ঘাটতি মেটাতে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও সরকারি প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়ানোর ওপরও জোর দেন বিশ্লেষকেরা।
অর্থনীতি ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ