ঢাকায় গরু ও ছাগলের মাংসের দামে বিক্রি হচ্ছে মহিষ আর ভেড়ার মাংস। ক্রেতার সচেতনতার অভাবে এই সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। জবাইয়ের ক্ষেত্রে অনিয়মের পাশাপাশি পশুর ডাক্তারি পরীক্ষা না করেই জবাইয়ের অভিযোগও রয়েছে।
এজন্য সিটি করপোরেশনের কার্যকর উদ্যোগের অভাবই দায়ী, বলছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব।ঢাকায় মাংসের বাজার ঘুরলে চোখে পড়ে সবই খাসি এবং গরুর মাংসের দোকান। কিন্তু প্রতিদিন যে পরিমাণ মহিষ ও ভেড়া জবাই হয়, তার মাংস যায় কোথায়? রাতে ঢাকার একমাত্র সরকারি পশুর হাট গাবতলি গিয়ে দেখা গেলো গরু-মহিষের পাল তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। গন্তব্য রাজধানীর বড় মাংসের আড়ৎ কাপ্তানবাজার। পালের ৭০টি পশুর মধ্যে গরুর সংখ্যা মাত্র চারটি। বাকিসব মহিষ।
কসাইরা জানান, গরুর মাংসের সাথে মহিষের মাংসের পার্থক্য বুঝতে পারেন না ক্রেতারা। মহিষের দাম কম হওয়ায় তা গরুর মাংস বলে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।সিটি করপোরেশনের সুষ্ঠু তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে, দাবি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সমিতির ।
কাপ্তানবাজারের জবাইখানার মতো হাজারীবাগ, মিরপুর-১১ নম্বর, কসাইটুলী, গুলশান-১, মোহাম্মদপুর জবাইখানার অবস্থাও একই। এসব অব্যবস্থাপনার পেছনে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তার পাশাপাশি দায়িত্বরত ভেটেরিনারি ডাক্তার দায়ী বলেও অভিযোগ করেছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ