প্রকল্প অর্থায়নে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের সরকারি পরিকল্পনায় বিদ্যুৎখাতের প্রকল্পই আছে অগ্রাধিকারে। শেয়ার বা বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এই টাকা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
তবে প্রতিশ্রুত সরকারি শেয়ার বাজারে না আসায়, নতুন করে শেয়ার ইস্যু করে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং, বলছেন বিশ্লেষকেরা। ২০২০ সালে আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে জিডিপির অন্তত ৩৪ ভাগে বিনিয়োগকে উন্নীত করতে চায় সরকার। আর এজন্য অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে তোড়জোর। অর্থের সংস্থানে উন্নয়ন সহযোগীদের পাশাপাশি ঋণ নেয়া হচ্ছে প্রতিবেশি দেশ চীন-ভারত থেকেও। আর অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে রিজার্ভের পাশাপাশি চিন্তা করা হচ্ছে পুঁজিবাজারকে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর বাজার মূলধন এখন পৌনে চার লাখ কোটি টাকা। দৈনিক লেনদেন হাজার কোটি টাকার বেশি। বাজার মূলধনের ১২ ভাগ বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলোর দখলে। তাই পুঁজিবাজারের অর্থ দিয়ে বিদ্যুৎখাতের মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নই সহজ হবে বলছে সরকার। তবে বাজারে সরকারি শেয়ার পর্যাপ্ত না থাকায় অর্থায়নে বেসরকারি শেয়ারের দিকে ঝুঁকতে হবে সরকারকে। সেজন্য অর্থ সংগ্রহের আগে প্রকল্পে লাভের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগকারীর লাভ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে বলে মনে করেন সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান।
মেগা প্রকল্প অর্থায়নে বেশি সংখ্যক বিনিয়োগকারীকে অন্তর্ভুক্ত করতে কম দামের বন্ড বেশি করে ছাড়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ