ভারত অতিরিক্ত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করার পর পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমে গেছে। এতে বেনাপোল স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরেই এ বিষয়ে একটি সমাধান আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের আশিভাগই ছিল পাট ও পাটজাত পণ্য। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রতিটন পাট ও পাটজাত পণ্যে মানভেদে ৩৫২ ভাগ ৩৫১.৭২ শতাংশ পর্যন্ত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে ভারত। এতে করে পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি অনেকটা কমে গেছে। অ্যান্টি ডাম্পিংয়ের আগে যেখানে ১শর বেশি পাটপণ্য রপ্তানি হতো এখন তা বেশকমে গেছে। অতিরিক্ত এই শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা। বলছেন শুল্কের কারণে পাট রপ্তানিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তৌহিদুর রহমান সিএন্ডএফ এজেন্ট বলেন,যদি অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার না হয় তাহলে বাংলাদেশের জুট মিলসগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে, অনেক শ্রমিক কর্মসংস্থান হারাবে।
ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বিষয়টি নিয়ে দু দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান আসবে। মতিয়ার রহমান চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের সাব কমিটি। আমাদের প্রধান পণ্য পাট ওয়ার্ল্ড ট্রেডের নিয়ম অনুযায়ী ৫০% বেশি হলে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা যাবে, কিন্তু আমরা মাত্র ৪০ থেকে ৪২ % এক্সপোর্ট করি, সেখানে এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কোন যুক্তি নাই। তাই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বিষয়টি সমাধানের আশা করবো। বাংলাদেশের পাটপণ্যের অন্যতম বড় বাজার প্রতিবেশি ভারত।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ