ক্রমাগত কমছে প্রবাসী আয়। রপ্তানি আয়েও নেই কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই আয় কমে আসায় উদ্বিগ্ন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন এতে সরকারের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত আর গ্রামীণ অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অবস্থার উত্তরণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকদের।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে আসা, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমুল্যায়ন ছাড়াও হুন্ডি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে কমছে প্রবাসি আয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অর্থবছরের প্রথম আট মাসে প্রবাসি আয় এসেছে ৮১১ কোটি ২৫ লাখ ডলার। যা গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ ভাগ কম। রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিও কমতির দিকে টানা চারমাস। এর কারণও জানান ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ জানান, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এই দুই খাতের মন্দাভাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি হিসাবেও। সাত মাসে ঘাটতি দাঁড়ায় ৭৫ কোটি ডলার। অথচ আগের অর্থবছরের একই সময়ে উদ্বৃত্তই ছিল আড়াইশো কোটি ডলার। বিশ্লেষকরা বলছেন, রেমিট্যান্সের মন্দাভাবে ঝিমিয়ে পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতি। আর রপ্তানির গতি না ফিরলে কমবে কর্মসংস্থান।
রপ্তানি বাড়াতে ইউরোপ-আমেরিকার পাশাপাশি ভারত ও চীনের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে যাবার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। আর রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকিং চ্যানেলে সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ তাদের।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ