দৈনন্দিন জীবনে জ্বালানি গ্যাসের চাহিদা প্রচুর।যত দিন যাচ্ছে গ্যাসের চাহিদা তত বাড়ছে।প্রায় গত দেড় বছর পর আবার গ্যাসের দাম বাড়ালো সরকার। সব শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য দুই ধাপে বাড়ানো হয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। বিকেলে জ্বালানি খাতের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন থেকে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। বর্ধিত মূল্যহারে সব শ্রেণির গ্যাসে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে দাম বাড়ালো সরকার। কমিশনের দাবি- টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং গ্রাম-শহরের জ্বালানি ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনতেই দাম বাড়ানো হলো।

গৃহস্থ ঘরের হেঁসেল থেকে শুরু করে, পরিবহন, কলকারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ দৈনন্দিন জীবনের জ্বালানি চাহিদার একটা বড় অংশেরই প্রাথমিক উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস। অবশেষে গ্যাস খাতের ৬টি বিতরণ ও সঞ্চালন কোম্পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গ্যাসের দাম ২ ধাপে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বাড়ালো। বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশন কার্যালয়ে বর্ধিত মূল্যহার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানায় সংস্থাটি।

নতুন মূল্যহার অনুযায়ী, প্রথম ধাপে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম বাড়বে প্রতিঘনমিটারে ২.৯৯ টাকা হারে এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩.১৯ টাকা হারে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে প্রথম ধাপে ৮ টাকা ৯৮ পয়সা, দ্বিতীয় ধাপে ৯ টাকা ৬২ পয়সা। সার খাতে প্রথম ধাপে ২ টাকা ৬৪ পয়সা, দ্বিতীয় ধাপে ২ টাকা ৭১ পয়সা। শিল্প খাতে প্রথম ধাপে ৭ টাকা ২৪ পয়সা, দ্বিতীয় ধাপে ৭ টাকা ৭৮ পয়সা। চা বাগানে প্রথম ধাপে ৬ টাকা ৯৩ পয়সা, দ্বিতীয় ধাপে ৭ টাকা ৪২ পয়সা। বাণিজ্যিক খাতে প্রথম ধাপে ১৪ টাকা ২০ পয়সা, দ্বিতীয় ধাপে ১৭ টাকা ৪ পয়সা।

সিএনজিতে প্রথম ধাপে ৩৮ টাকা এবং দ্বিতীয় ধাপে ৪০ টাকা। গৃহস্থালিতে মিটার গ্যাসে প্রথম ধাপে ৭ টাকা ১০ পয়সা, দ্বিতীয় ধাপে ১১ টাকা ২০ পয়সা। এক চুলায় প্রথম ধাপে ৭৫০ টাকা এবং ৯০০ টাকা। এবং দুই চুলায় প্রথম ধাপে ৮০০ টাকা এবং দ্বিতীয় ধাপে ৯৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে