বিনোদন ডেস্ক।। জহির করিমের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা আদিত্য জনি। এতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, তাসনুভা তিশা, তাসনিয়া ফারিন, রোমেল, তালহা খান প্রমুখ। এবারের ঈদের নাটক “যাও পাখি বলো… ” প্রচার হবে দীপ্ত টিভিতে ঈদের চতুর্থ দিনের অনুষ্ঠানমালায় রাত সাড়ে আটটায়।
রোম্যান্টিক গল্পের এই নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে – শাথিল আর ঐশী সুখী দম্পতি। ওদের মধ্যে হঠাৎ করেই শাথিলের বন্ধু সীমানা এসে ওদের দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে চির ধরায়। ঐশী অবিশ্বাস করতে শুরু করে শাথিলকে। ঐশী ভেবেই নেয় শাথিল আর সীমানার মধ্যে গোপন প্রেম আছে। এক সময় সন্দেহের মাত্রা এতোটাই বেড়ে যায় যে ঐশী শাথিলের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি দিয়ে গৃহত্যাগ করে প্রবাসে চলে যায় তার বাবা মার কাছে। শাথিল অনেক খুঁজেও ঐশীর সন্ধান পায় না। হঠাৎ ১৫ বছর পর একটা রেষ্টুরেন্টে ঐশীর সঙ্গে শাথিলের দেখা হয়।
শাথিল ঐশীকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে যায়। তারপর একই কফি টেবিলে মুখোমুখি বসে পুরোনো প্রসঙ্গে কথা বলতে থাকে দুজনে। ঐশী জানতে পারে সীমানা ছিলো শাথিলের ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ড, একটা ব্যক্তিগত ক্রাইসিসে পড়ে সীমানা একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে শাথিলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সীমানার নিষেধ ছিলো তার এই ক্রাইসিসের কথা যেন শাথিল তার স্ত্রী ঐশীকে জানায় না। কথায় কথায় শাথিল তখন ঐশীকে জানায়, আসলে সীমানার ক্যান্সার হয়েছিল। সে চায়নি, বেঁচে থাকার অল্প কটা দিন কারও সিম্পেথি নিতে। তাই ব্যাপারটা সবার কাছ থেকে আড়াল রাখার অনুরোধ করেছিল সীমানা। শাথিল আরো জানায় সীমানা আর বেঁচে নেই। সব জেনে ঐশী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শাথিল ঐশীকে আবার নতুন করে জীবন শুরু করার জন্য অনুরোধ জানায়। তখনি সামনে এসে দাড়ায় রাশেদ, ঐশীর নতুন স্বামী। স্তম্ভিত হয়ে যায় শাথিল। মেনে নেয় জীবনের নতুন বাস্তবতাকে।
নাটকটি প্রসঙ্গে বিডিটাইমস নিউজের প্রতিবেদককে নির্মাতা আদিত্য জনি বলেন, চমৎকার গল্পের এই নাটকটি সব শ্রেণীর দর্শকদের মন ভরাতে সক্ষম হবে। অভিনয় শিল্পীরা চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। আশাকরি এই করোনাকালের ঈদের এই নাটকে তাদের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করবে।
বিনোদন ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ