মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার প্রাচীন ভাস্কর্য শিল্পের অনুপম নিদর্শন খালিয়া রাজারাম মন্দির। সপ্তদশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত। মন্দিরটি মহাকালকে উপেক্ষা করে আজো টিকে রয়েছে। এটিই জেলার একমাত্র প্রাচীন মন্দির।

নির্মাণের ইতিহাস
তৎকালীন জমিদার কালীসাধক রাজারাম রায় চৌধুরী মন্দিরটি বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করেছিলেন। তবে নির্মাণের সঠিক তারিখ জানা যায়নি। নির্মাতার নামেই এটি পরিচিত হয়ে উঠেছে।

নির্মাণশৈলী
এটি বাংলাদেশের গ্রামবাংলার নিজস্ব রীতিতে তৈরি। দেখতে চৌচালা ঘরের মতো। ২৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মন্দিরের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট, প্রস্থ ১৬ ফুট এবং উচ্চতা ৪৭ ফুট। দ্বিতল মন্দিরের এসব টেরাকোটায় রামায়ণ ও মহাভারতের বিভিন্ন দৃশ্যাবলী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নিপুণ দক্ষতায়। এছাড়া মন্দিরের গায়ে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবী, পশু-পাখি ও লতা-পাতার অসংখ্য চিত্র। দক্ষ শিল্পীদের নিপুণ হাতের কারুকাজ ৪শ’ বছর পরও মানুষের মন কাড়ে। মন্দিরের অলঙ্করণের জন্য ব্যবহৃত টেরাকোটায় রয়েছে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ, রামায়ণ ও মহাভারতের নানা কাহিনি। মন্দিরের পাশে রয়েছে রান্নাঘর। এ রান্না ঘর থেকেই পূজার বিভিন্ন উপাচার ও উপকরণ তৈরি করা হতো।

ব্যবহার
জমিদার রাজারাম রায় চৌধুরী নিজেই এ মন্দিরে পূজা করতেন। রান্নাঘরটি বর্তমানে সংস্কারের অভাবে বিধস্ত হয়ে পড়ার উপক্রম। মন্দিরের নিচতলায় ৩টি কক্ষ ও উপরের তলায় ৬টি কক্ষ রয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ন
মন্দিরটি দেখাশোনার জন্য জাতীয় জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ একজন সাইড পরিচালক নিয়োগ করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে