দুই দশকেরও বেশি সময়ের সামরিক জান্তা সরকারের শাসনের অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি গণতন্ত্রে ফিরেছে দেশটি। শুরু হয়েছে সংসদ অধিবেশনও। এরই মধ্যে ভীতিমুক্ত ও নিরাপদ পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে মিয়ানমার। পাশ্ববর্তী দেশের তো বটেই সুদূর অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি এমনকি আমেরিকা থেকেও পর্যটক আসতে শুরু করেছেন দেশটিতে।

শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সং সুচি`র সমর্থকরা বলছেন, “এটা গণতন্ত্রের বিজয়।” আর দেশটিতে ঘুরতে অাসা পর্যটকরা বলছেন, “বৃটিশের কবল থেকে মুক্তির পর প্রায় অর্ধশত বছর দেশটি ছিল অবৈধ সামরিক জান্তার কবলে। সাম্প্রতিক কালে গণতন্ত্রের বিজয় হওয়ায় বার্মায় (মিয়ানমার) বেড়ে গেছে পর্যটক।”

রাজধানী ইয়াঙ্গুনের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ‘কারাউইক প্যালেস’। মনোমুগ্ধকর লেকের উপর জাহাজ আকৃতিতে বানানো হয়েছে ট্রেডিশনাল শো সেন্টার, বার ও শপিং সেন্টার। অন্যদিকে মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী নাচ গানসহ নানা আয়োজন রাতের রেঙ্গুনকে বিশেষভাবে পরিচিতি দিয়েছে।

রাতে ট্রেডিশনাল শো চলাকালে কথা হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা পর্যটক মাইকেল ব্লুম-এর সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমরা প্রথমবার এসেছি। এখানকার মানুষদের আচরণ বন্ধু সুলভ। হোটেল ভাড়া থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম কম। সবচে ভালো লেগেছে মিয়ানমারের আবহাওয়া।

কারাউইক প্যালেসের ম্যানজার কং মেয়াত তো জাগো নিউজকে জানান, প্রতিরাতে এখানে হাজারের উপরে পর্যটক আসেন। ভিনদেশি পর্যটকদের উপস্থিতি আমাদের খুবই আনন্দ দেয়।

এখানে সিনিয়র ওয়েটার অডিটর জানান, বিদেশি অতিথিদের সেবা করতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। বিদেশিদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে অং সান সুচির এনএলডি বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে। এরপর গত ২৬ জানুয়ারি সেনাপ্রধান মিং অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সুচি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইস্যুতেও সংবিধানের বিধি-নিষেধের আলোচনায় যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে