পর্যটক ও পর্যটন এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। দেশের প্রধান প্রধান পর্যটক এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের রয়েছে নানা উদ্যোগ। ইতোমধ্যে পর্যটকদের যে কোনো সমস্যায় এগিয়ে এসে তারা বেশ প্রশংসাও কুঁড়িয়েছেন।
শনিবার (২৩ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়া তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় ট্যুরিস্ট পুলিশের স্টলে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো তাদের সেবার পরিধি।
বাংলাদেশ পর্যটন পুলিশ শাখার পরিদর্শক (লিগ্যাল ও মিডিয়া) এম এ রাহি বাংলানিউজকে জানান, পর্যটক ও পর্যটন এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নানা সামাজিক কার্যক্রম করে যাচ্ছে এ বিভাগ। দিন-দিন ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্যুরিস্টরাও খুশি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বিভাগের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান অভিজ্ঞতার আলোকে জানান, দেশের প্রধান প্রধান পর্যটন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ বক্স আছে। যেখানে সব সময় তারা প্রস্তুত থাকেন। অধিকাংশ সময়ে পর্যটকদের কোনো সমস্যা হলে তারা বুঝতে পারেন। ফলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাও নেন।
স্টল সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের অধীনে পর্যটন পুলিশ বিভাগ। বর্তমানে পাঁচ শ’র বেশি ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য রয়েছেন। দায়িত্বরত অবস্থায় পর্যটন এলাকা যেন রক্ষিত থাকে সেদিকেও তারা খেয়াল রাখেন।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পর্যটকরা হঠাৎ কোনো সমস্যায় পড়লে ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনাল অফিসসহ সংশ্লিষ্টদের ফোন করলেই নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বরগুলো হলো- ঢাকা অফিস ০১৭৬৯-৬৯০৭১৭, চট্টগ্রাম অফিস ০১৭৬৯-৬৯০৭৩০, মৌলভীবাজার অফিস ০১৭৬৯-৬৯০৭২১, সিলেট অফিস ০১৭৬৯-৬৯০৭১৮, কুয়াকাটা অফিস ০১৭৬৯-৬৯০৭১৯, কক্সবাজার অফিস ০১৭৬৯-৬৯০৭৩২।
তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ট্যুরিস্ট গাইড বিডি’র সিইও এসএম মাকসুদুল ইসলাম মামুন বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ যখন কর্তব্য পালন করবেন তখন যেন পোশাক পরে থাকেন। ফ্রেশ ইমেজ নিয়ে কাজ করে গেলে অনেক ভালো সহায়ক হবে পর্যটকদের জন্য।
তিনি মনে করেন, ট্যুরিস্ট পুলিশদের বন্ধুভাবান্ন হতে হবে। আইনের কোনো দাম্ভিকতা যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সার্বিক বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পর্যটক ও পর্যটন এলাকার নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশরা সব সময় টহল দেন। এটি সরকারের খুবই ভালো পদক্ষেপ। লোকবল সঙ্কটে এখনও সারাদেশে এ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপও নিচ্ছে সরকার।
গত বৃহস্পতিবার এ মেলা শুরু হয়। শনিবার রাত ৮টায় শেষ হবে মেলা।