কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ লালন স্মরণোৎসবের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম তোহা বলেছেন লালনের ধর্মনিরপেক্ষতা, সামাজিক ন্যায়বিচার, সার্বজনীন মানবাধিকার ও সাম্যতার চেতনা জাতিসংঘ কতৃক প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং আমাদের সংবিধানেও স্থান পেয়েছে।
পৃথিবীর সকল মনীষী লেখালেখির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন কিন্তু লালন তা করেন নি। এখানেই তার শ্রেষ্ঠত্ব। তিনি লালনের দর্শন পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভূক্তির দাবি জানান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক লালিম হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র আনোয়ার আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, কলামিস্ট শেখ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, রবীন্দ্র পরিষদের সভাপতি আলম আরা জুঁই, জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। আমিরুল ইসলামের আক্ষেপের সুরে বলেন লালনের কাঙ্খিত মানবিক সমাজ আমরা এখনও তৈরি করতে পারিনি। সমাজে এখনও ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা বিরাজমান।
এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মেলায় বিদেশিদের আগমনকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু ভাইরাস সনাক্তকারী কোন যন্ত্রের দেখা পাওয়া যায়নি। আগামীকাল ভাঙবে মেলা। সাধুরা ফিরবেন নিজ গৃহে এবং ঘটাবেন মানবতার বিশ্বায়ন।
প্রিতম মজুমদার
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ