নিউজ ডেস্কঃ সার্টিফিকেট বিতরনের মাধ্যমে শেষ হল “২য় ঢাকা ট্রান্সলেশন ফেস্ট ২০১৯”। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয় ২৫-২৬ অক্টোবর দুইদিন ব্যাপী ২য় ঢাকা ট্রান্সলেশন ফেস্ট ২০১৯ । ২য় বারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই আন্তর্জাতিক অনুবাদ উৎসব। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মানজুরুল ইসলাম, প্রফেসর ফখরুল আলম।
২য় দিন দুপুর ২ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আর্ট গ্যালারি সেমিনার হলে প্যানেল ডিসকাশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।আজকের ডিসকাশনের বিষয় ছিল “আফ্রিকান লাইটস”। “আফ্রিকান লাইটস” প্যানেল ডিসকাশনটি সঞ্চালনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড রাশিদ আসকারী।উক্ত আলোচনায় অংশ নেন গৌরাঙ্গ মোহন্ত, ইলহাম হোসেন, নিতাই সাহা প্রমূখ।
এরপর পরের সেশনে অনুবাদ সাহিত্যের প্রস্তুতির উপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড আহমেদ রেজা। অনুষ্ঠানে দেশি- বিদেশি অতিথিসহ বাংলাদেশের স্বনামধন্য সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী অংশ করেন।
অনুবাদ সাহিত্যের প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা শেষ হওয়ার পর শুরু হয় প্রবন্ধ উপস্থাপনা। প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য্যাপক ড আহমেদ আহসানুল্লাহ। এরপর শুরু হয় ট্রান্সলেট ফেস্ট এর সবচেয়ে আকর্ষনীয় অংশ কবিতা পাঠ। উক্ত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠে অংশ নেন ফ্রান্সিস্কো মুনোজ সোলার, আলি নেয়ামত, কাজি শাহজাহান, মাহবুব মিত্ত্র, ইমরান মাহফুজ সহ আরও অনেক অতিথিগন।
পুরষ্কার বিতরনীর মাধ্যমে শেষ হয় ২য় ঢাকা ট্রান্সলেশন ফেস্ট।পুরষ্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী সেলিমা খাতুন।তিনি বলেন, অনুবাদ একটি গুরুত্তপুরন বিষয়। এই বিষয়টীকে নিয়ে আরও বিস্তর কাজ করার প্রয়োজন আছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড রাশিদ আসকারী। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর অনেক প্রকাশনা আছে যেগুলোকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক অনুবাদ, প্রকাশনা ও গবেষণা সেল গঠন করা এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং তা বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবী।যার মাধ্যমে দেশে মানসম্পন্ন অনুবাদ তৈরী হবে এবং প্রকাশনার মাধ্যমে তা সারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া যাবে।
বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। সেরা পরিচালক হিসেবে পুরষ্কার গ্রহণ করেন ওয়ালিদ আহমেদ, সেরা স্ক্রিন প্লে ক্যাটাগরি থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন চৌধুরী আসিফ জাহাঙ্গীর অর্ক, স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদ। বেস্ট প্রমিজিং আর্টিস্ট ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার গ্রহণ করেন আরিশ সরকার, বেস্ট কন্সেপ্ট ক্যাটাগরি থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন নাফিউ কবির।বেস্ট পোস্টার ক্যাটাগরি থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন সাজ্জাদ হোসেন রাজু।উক্ত অনুষ্ঠানে সেচ্ছাসেবক হিসেবে নাহিদ,মুর্তজা, সুচয়ন্ তানভির, আব্দুর রহিম, অনন্যা,খুশবু, সাকি,সারাহ,নাসরাত নাহিদ, মেঘ, পরমিতা প্রমুখ।
উক্ত ফেস্ট এ সার্বিক সহযোগিতা করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়, লেদার টেকনোলজিস,সাচো ইন্টার- ন্যাশনাল লি, ডাটা এজ, সোনালি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইনজেন,দোহা টেক,কাজলা টেকনোলজিস, প্রথমা প্রকাশন, আগামী প্রকাশনী, পাঠক সমাবেশ, সাদামাটা,ক্রিয়েট স্কাই,রুব্রিক পাব্লিকেশন্স,স্পেক্ট্রাম,সি-চিং, হামিদা ট্রেডস,ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইসলামী ইউনিভার্সিটি, ডেইলি স্টার বুকস,দ্য বুক অয়ার্ম, আগামী প্রকাশনী, প্রথমা প্রকাশন,পিবিএস বুক শপ,আই জে পি এল, পাঠক সমাবেশ, জার্নিম্যান বুকস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান।
শামস ই তানভীর
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ