কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে প্রত্যেকের মনের মধ্যে এক ধরনের অদ্ভুত অনুভুতি কাজ করে। নতুন যায়গা, নতুন পরিবেশ, ভিন্ন ভিন্ন মানুষ আর তাদের নিজস্ব ভাষা,শিল্প-সংস্কৃতি মজার মজার খাবারের স্বাদ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আরো কত কি ।বর্তমান গ্লোবাল বিশ্ব ভ্রমন পিয়াসু মানুষদের জন্য এক স্বর্গরাজ্য। মানুষ শখ আর রোমাঞ্চের স্বাদ নেওয়ার টানে ছুটে চলেছে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় পৃথিবী খ্যাত পরিব্রাজকরা তাদের জীবনের একটা বড় অংশ বিশ্ব ভ্রমন করে কাটিয়ে দিয়েছেন। তারা নিজেরা বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জেনেছেন আর মানুষকে জানিয়েছেন তাদের নিজেদের দেশ সম্পর্কে।
(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট এর সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ)
একটা সময় ছিল যখন অন্য দেশ বা ভাষা সম্পর্কে জানা খুব বিশেষ সহজ কাজ ছিল না। পাঠ্য পুস্তক ই ছিল এক মাত্র ভরসা। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। গ্লোবালাইজেশন এবং ডিজটালাইজেশনের কারনে পুরো দুনিয়া আজ চলে এশেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। আজ মানুষ ঘরে বসেই পৃথিবীর কোন্ প্রান্তে কি হচ্ছে তা ইন্টার নেটের কল্যানে জেনে নিতে পারছে খুব সহজেই। আর যারা ভ্রমন করতে ভালোবাসেন তাদের তো কথায় নেই। তারা ঘরে বসেই নিয়ে নিচ্ছেন ভ্রমনের খুটিনাটি সব খবরাখবর। এ জন্য বিশ্বজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি যারা ভ্রমন পিয়াসুদের তৃষ্ণা মেটাতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অবিরত।
এবার আসি এক্টু ভিন্ন প্রসঙ্গে। সঙ্গী বা বন্ধু ছাড়া কিন্তু ঘুরতে গিয়ে মজা হয় না। সেটা হোক দেশের ভেতর বা বাইরে।একটু চিন্তা করে দেখুন তো কোথায় আপনি একা একা ক্যাম্পিং করছেন আর কোথায় বন্ধুদের নিয়ে ক্যাম্পিং করছেন। আর সেই ক্যাম্পিং এর সাথে যদি যুক্ত হয় আপনার একঝাক বন্ধু কেমন লাগবে তাও যদি হয় বিদেশের মাটিতে ?
বাংলাদেশ-চীন শিক্ষা-সংস্কৃতি বিনিময় প্রকল্পের আওতায় ‘বাংলাদেশ-চীন ইয়ুথ ক্যাম্প ২০১৯’- অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চীনের কুনমিং শহরে। ৩য়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ইয়ুথ ক্যাম্প। এবারের ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক চীনা দূতাবাস, আয়োজক চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় এবং সহ-আয়োজক কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও শান্ত মারিয়াম কনফুসিয়াস ক্লাসরুম।বাংলাদেশ-চীন শিক্ষা-সংস্কৃতি বিনিময় প্রকল্পের আওতায় এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে।২৬ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ইয়ুথ ক্যাম্প চলবে।
সুনির্দিস্ট কয়েকটি ধাপে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট বেছে নিয়েছে এক ঝাক মেধাবী তরুণ-তরুণীদের। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট চায়না সরকার পরিচালিত একটি চাইনিজ ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ চাইনিজ শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই ইনস্টিটিউটএর অধ্য্যয়নরত একঝাক শিক্ষার্থী এবারো যাচ্ছেন বাংলাদেশ-চীন ইয়ুথ ক্যাম্প ২০১৯’ এ চীনা দূতাবাস ও চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় এর আমন্ত্রনে।১০ দিনের এই বুট ক্যাম্পের মাধ্যমে তারা চায়নার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরবেন,সেখানকার চাইনিজ শিক্ষার্থী বন্ধুদের সাথে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা–প্রশাখা নিয়ে আলোচনা করবেন। তুলে ধরবেন নিজ দেশের কৃষ্টি-কালচার।জানবেন চায়নার ঐতিহ্য সম্পর্কে,জানাবেন বাংলাদেশ সম্পর্কে।
শামস ই তানভীর
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ