বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সরকার উৎখাত করতে বিএনপি-জামায়াত জোট একসাথে কাজ করছে বলে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গিবাদ ছড়াতে কিছু কিছু কওমি মাদ্রাসা মদদ দিচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবে আয়োজিত ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতকে বুঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে, বর্তমান সরকারের সময় এখানকার সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। বিদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশকে ধ্বংসের নীল নকশা নিয়ে তারা এগুচ্ছে। এসব কিছুর মদদ দাতা, অর্থের যোগানদাতা এবং পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সব মাদ্রাসা খারাপ নয়। কিছু কিছু চিহ্নিত মাদ্রাসা জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, জঙ্গিদের তৈরি করছে।’ তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রত্যেক অভিভাবককে সচেতন হতে হবে যেন আপনাদের সন্তানরা জঙ্গি না হয়। আলেম সমাজকে তিনি আহ্বান জানান আপনারা সাধারণ মানুষদের বুঝান। তাদের কেউ যেন ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করতে না পারে। ইসলাম জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে, গুপ্তহত্যার পেছনে বিএনপি জড়িত বলে জানিয়ে গুপ্তহত্যা বন্ধে বিএনপির সাথে কোন ধরনের জাতীয় ঐক্য সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, ‘ঐক্যের কথা বলে কারা? কাদের সঙ্গে ঐক্য হবে? যারা সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গে বসে কিসের ঐক্য? তাদের সঙ্গে বসতে হলে তো খুনিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে সরকারকে উৎখাত করতে ব্যর্থ হয়ে গুপ্তহত্যার এই পথ বেছে নিয়েছেন।’
দেশের আলেম সমাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে মানুষ খুন করছে, মানুষকে বোঝাচ্ছে, আপনারা সেই মানুষদের কাছে যান, তাদের সঠিক ধর্ম ইসলামের সত্যগুলো বুঝান। ইসলাম জঙ্গিবাদ, মানুষ খুন সমর্থন করে না। এছাড়াও আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এম কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম এবং প্রধানবক্তা বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুফতি তাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।