রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সাথে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার ঋণ চুক্তি অনুস্বাক্ষর হচ্ছে ১৯ শে মে। প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানিয়েছেন, ১৮-১৯ মে মস্কোতে এ নিয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলছেন, মোট বিনিয়োগের ৯০ ভাগ অর্থ ঋণ পাওয়ায়, সরকারের অগ্রাধিকার এ প্রকল্প অর্থনীতিতে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। পাবনার রূপপুরে চলছে দেশের প্রথম পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের তোড়জোড়। এ মাসের শুরুর দিকে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বলা হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরমানু চুল্লি নির্মাণের আগের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর মূল কাজ শুরু হবে আগামী বছরের শেষ ভাগে। তার আগে এ প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের চুলচেরা বিশ্লেষণ।
সাধারণ চুক্তি অনুযায়ী ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৯০ ভাগই ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রাশিয়া। আর সেই টাকার সংস্থান করতে এই মুহূর্তে, মস্কো সফরে বিজ্ঞান মন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল। ঢাকা ছাড়ার আগে, প্রকল্প পরিচালক বললেন, ঋণ চুক্তি সইয়ের জন্যই এ সফর।
পরমানু শক্তি কমিশন ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার ঋণ চুক্তি অনুস্বাক্ষর হবে মস্কোয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ৯ বছরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে পদ্মাসেতু ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিলিয়ন ডলার প্রকল্পের কাজ চলবে। যার বেশির ভাগ ব্যয় হবে বৈদেশিক মুদ্রায়। তাহলে রূপপুর কী বাড়তি চাপে ফেলবে অর্থনীতিকে?
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব বলছেন, দিনে দিনে বড়ো হচ্ছে অর্থনীতি, টাকার কোন সমস্যা হবে না। সবকিছু ঠিক থাকলে, ২০২২ সালে প্রথম চুল্লি থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে রূপপুর থেকে। আর পরের বছর মিলবে সমপরিমাণ বিদুৎ।