দেশে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশীয় উদ্যোগে মোবাইল ফোন শিল্প গড়ে তোলার এখনই উপযুক্ত সময়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

বিএমবিএর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১০ হাজার কোটি টাকার মোবাইল ফোনের বাজার রয়েছে। এর পুরোটাই বিদেশিদের দখলে। এত বড় একটি বাজার বিদেশিদের হাতে থাকবে, এটি হতে পারে না। প্রয়োজনে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল অথবা শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব জায়গা থেকেও মোবাইল ফোন শিল্পপার্কের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার মোবাইল ফোন। এটি ফ্যাশন নয়, প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিলসহ দেশ-বিদেশ থেকে টাকা লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ছয় কোটি মানুষ ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বের দশম দেশ হিসেবে উঠে এসেছে।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই দেশীয় শিল্পের বিকাশ হোক। এ ব্যাপারে সরকার আন্তরিক। কিন্তু আপনাদের এর সক্ষমতা দেখাতে হবে। এত বড় একটি বাজার বিদেশিদের হাতে থাকতে পারে না। গুণগত মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব হবে।’

সভায় দেশেই মোবাইল ফোনসেট তৈরিতে বিশেষ অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি কাঁচামাল আমদানিতে করমুক্ত সুবিধা দেয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশে মোবাইল ফোন প্রচলনের শুরুতে একটি ফোনের দাম ছিল এক লাখ ২০ হাজার টাকা। সরকারের নানা পদক্ষেপ ও সহায়তার কারণে তা আজ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রয়েছে। দেশে এ পণ্য উৎপাদন করতে পারলে এর দাম আরো কমবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা চাইলে তাঁদের জমি বরাদ্দসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, বর্তমান সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, এফবিসিসিআইয়ের সদস্য হারুনুর রশিদ, বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান মার্গুব মোরশেদ প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে