দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা, টেনশন, কাজের চাপ থেকে একটু বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে নিতে আমরা বিনোদনের সাহায্য নিই। কিন্তু যদি বিনোদনই নেশায় পরিণত হয় আর সেটাই সারাদিন জুড়ে জীবনে থেকে যায়,তাহলে? ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে কী করবেন?
ভারতের বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরোসায়েন্স দেশের মধ্যে মানসিক চিকিৎসায় সবচেয়ে ভালো পরিষেবা প্রদান করে থাকে। ২০১৫ সালে তারা ‘Service for Healthy Use of Technology’ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে মানসিক ক্ষতির চিকিৎসা করেন তারা।
সম্প্রতি তারা এক তরুণের চিকিৎসা শুরু করেছেন, তিনি ‘নেটফ্লিক্স’এর নেশায় কাবু। ২৬ বছর বয়সী এই যুবক চাকরি হারানোর পর ‘নেটফ্লিক্স’এর নেশায় এমনই ডুবে গিয়েছেন যে বাস্তবের জীবন থেকে প্রায় ৬মাস দূরে সরে গিয়েছেন।
ওই ক্লিনিকের মনোবিদ ডাঃ মনোজ কুমার শর্মা জানান,যুবকটি প্রতিদিন সাতঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সিনেমা ও অনুষ্ঠান দেখতেন। যখনই পরিবারের লোকজন তাকে চাকরির কথা বলতেন, বা তিনি দেখতেন বন্ধুরা উন্নতি করছেন, উনি ‘নেটফ্লিক্স’ এ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখা শুরু করতেন।
ডাঃ শর্মা বলেন,এটি পালিয়ে যাওয়ার একটা পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সমস্যা থেকে পালিয়ে যেতে চান তাঁরা। আর এই পালিয়ে যাওয়ার অভ্যেস থেকেই জন্ম নিচ্ছে শারিরিক রোগের পাশাপাশি মানসিক নানা রোগ।
বিবাহিতদের ক্ষেত্রেও সামান্য সমস্যা তৈরি হলে তারা ডুবে যাচ্ছেন নেট দুনিয়ায়। বাংলা ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি বহুকাল আগে লিখেছিল, ‘পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে, স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে, ড্রইংরুমে রাখা বোকাবাক্সতে বন্দী।’ আজ লিখলে হয়তো মুঠোফোনে বন্দী লিখত ৷
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ