১৪০ দেশের মধ্যে ৩৬তম অর্থনীতির দেশ হয়েও বাণিজ্য প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সূচকে এক ধাপ পিছিয়ে অবস্থান এখন ১০৩-এ। ব্যবসার গতি ও পণ্য উৎপাদনের উৎকর্ষতাসহ ১১ বিভাগে দুর্বলতার কারণেই এই অবনতি। সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে গবেষণা সংস্থা-সিপিডি।
ব্যবসায়ীদের মূল্যায়নের আলোকে ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক তৈরি করছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম। তারা বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন বদলে দিচ্ছে ব্যবসার গতি-প্রকৃতি। সে কারণেই এবারের প্রতিবেদন তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে আইসিটি। আর এতেই পালটে গেছে হিসাব-নিকাশ। জরিপে অংশ নেয়া ১৪০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৩৬তম। এটিই বড় প্রভাব ফেলেছে প্রতিযোগিতা সক্ষমতার পরিমাপে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, অবকাঠামোসহ অন্য ১১ বিভাগে দুর্বলতার কারণে ১০৩তম অবস্থানে বাংলাদেশ। আর সবচেয়ে পিছিয়ে ব্যবসার গতি ও পণ্য উৎপাদনের উৎকর্ষতায়।
জরিপে অংশ নেয়া ব্যবসায়ীদের মতে, আগের বছরের চেয়ে কিছুটা কমলেও, এখনও ব্যবসার প্রধান বাধা দুর্নীতি। অবকাঠামো, মূল্যস্ফীতি, আমলাতন্ত্রসহ কিছু বিষয়ে উন্নতি হলেও জটিলতা বেড়েছে কর কাঠামোয়। তবে আসন্ন সংসদ নির্বাচনের কারণে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানাচ্ছেন জরিপে অংশ নেয়া প্রায় অর্ধেক ব্যবসায়ী। বিপরীতে আর্থিক খাতে সংস্কারের ঘোষণা নির্বাচনি ইশতেহারে চায় সিপিডি। প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে ভারত ছাড়া অবনতি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর। পিছিয়ে পড়েছে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম আর কম্বোডিয়াও। যথারীতি তালিকার প্রথমেই আছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট