রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে পল্টন থানায় ২০১৫ সালে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন রোডে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
শফিক রেহমানকে আটকের খবর স্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের একটি মামলায় এই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানের অভিযোগ পেয়ে এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সকাল ১০টায় বলেছিলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তার আধা ঘণ্টা পর ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার জানান, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের পল্টন থানার একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শফিক রেহমানকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই কার্যালয়ের সামনের সড়কটিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। শফিক রেহমানকে নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দিয়ে তালেয়া রেহমান বলেন, ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন লোক সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় ঢোকে। আমাদের সঙ্গে যেতে হবে বলে তাকে নিয়ে যায় তারা। শফিক রেহমান নানা সংবাদমাধ্যমে কাজ করলেও গত শতকের ৮০র দশকে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন সম্পাদনার মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি পান। তখন সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের রোষানলে পড়ে তাকে বাংলাদেশ ছাড়তেও হয়েছিল।
এরশাদের পতনের পর ফের বাংলাদেশে ফেরেন বিবিসিতে কাজ করে আসা এই সাংবাদিক। এক দশক পরে বিএনপির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠতে দেখা যায়। এর মধ্যে দৈনিক যায়যায়দিন বের করেন তিনি। তবে চালাতে না পারার পর যায়যায়দিনের স্বত্ব বিক্রি করে দেন তিনি।
লাল গোলাপ নামে একটি অনুষ্ঠান নিয়ে এখন সম্প্রচার মাধ্যমে সক্রিয় তিনি। খালেদা জিয়ার নানা কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়। প্রখ্যাত অধ্যাপক সাইদুর রহমানের ছেলে শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ডেমোক্রেসিওয়াচের নির্বাহী পরিচালক।