বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সব টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জল। ফিলিপাইনে আগামী মাসের নির্বাচনে ভোটারদের কাছে ভাবমূর্তি ধরে রাখতে সিনেট সদস্যরাও টাকা উদ্ধারে রীতিমত মরিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরির টাকা গেছে জুয়ার আসরে, তাই ফেরত আসবে না কোনদিন- শুরুর দিকের এ আশংকা কেটে গেছে পুরোপুরি। টাকা সরানোর মূল হোতা ক্যাসিনো ব্যবসায়ী অংক চিকিৎসার নামে সিংগাপুর পাড়ি দিলেও দ্বিতীয়বারের তাগাদায় যখন পড়িমরি করে হাজির হন সিনেটের শুনানিতে আর অঙ্গীকার করেন টাকা ফেরতের তখন গনেশ যায় উল্টে। ব্যাংক কর্মকর্তা, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান আর ক্যাসিনো ব্যবসায়ীসহ অভিযুক্তদের সবাই সিনেটের অধিবেশনে নাস্তানাবুদ হয়ে বুঝলেন চুরির এ টাকা হজম হবে না। তাই সবাই টাকা ফেরতের পথ খুজছেন এখন। এ বিষয়ে ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ বলেন, সিনেটে অস্বীকার করলেও পরে কিভাবে টাকা ফেরত দেবেন সেই পথ খুজছে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ এর মতে, বাংলাদেশ থেকে তদন্তে আসা সিআইডি কর্মকর্তারাও বললেন আশার কথা। টাকা চুরিতে আন্তদেশীয় এই অপরাধিচক্রকে ধরতে আরও তদন্ত দরকার-বলছেন তারা। তিনি বলেছেন প্রয়োজনে আরো একাধিকবার আসতে হতে পারে ম্যানিলায়।
সিআইডি আবদুল্লাহ আল বাকি জানান, তিন সদস্যের সিআইডির দলটি আজ দেশে ফিরে গেলেও ম্যানিলায় কাজ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা।