মোকাম্মেল মিশুঃ ইলিশ সাধারণত ১২ মাসই ডিম ছাড়ে তবে আর্শ্বিনের পূর্ণিমার ৩ দিন আগ থেকে আমাবশ্যা পর্যন্ত সময়টিকে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসূম হিসাবে বিবেচনা করে মৎস্য বিভাগ। এ সময় মা ইলিশ সাগরের নোনাপানি থেকে নদীর মিস্টি পানিতে এসে ডিম ছাড়ে। ইলিশের ডিম ছাড়া নির্বিঘ্ন করতে ভোলার নদ- নদীতে গত ২২ দিন ইলিশসহ সকল মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিলো। এসময় অধিকাংশ জেলে বেকার হয়ে পড়েছিলো। কেউ কেউ বিকল্প কাজে নিয়োজিত ছিলো। অভাব অনটনের মধ্যে থেকেও জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ শিকার করতে নামেনি। যে কারণে এবার ইলিশের উৎপাদন আরো কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করছে মৎস্য কর্মকর্তারা।
ভোলার বিভিন্ন মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র এবং ঘাটের জেলেরা জানিয়েছেন, ইলিশ শিকারে ২২ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা ছিলো তার সময় শেষ হচ্ছে আগামীকাল থেকে। সরকারের আইন মেনে ইলিশ ধরা থেকে বিরত ছিলেন তারা । এসময়ে জেলেদের কেউ বিকল্প পথে আয় করেছে, আবার অনেকে তাদের জাল ও নৌকা প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আগামীকাল ৩ নভেম্বর রবিবার রাত ১২ টা থেকে আবার ইলিশ শিকার শুরু করবেন তারা। এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আড়ৎদার খাইরুল ইসলাম জানান, আগামীকাল থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলো আবার সরব হয়ে উঠবে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে। সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার জেলে এরশাদ জানান, এবছর ইলিশের তেমন একটা দেখা তারা পাননি। দীর্ঘ দিন পর আবার নদীতে নামার পর বিপুল পরিমানে ইলিশ পাবেন এমনটাই আশা তাদের।
এদিকে ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. মাহমদুদূল হাসানের দাবী, সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা বিগত ২২ দিন নদীতে নামেনি। দু’ একজন দুষ্কৃতকারী নামলেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মৎস্য বিভাগের সাথে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ,নৌ পুলিশ, নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ডসহ আইন শৃংখলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করায় এবারের অভিযান সফল হয়েছে এবং ২০২৪ -২৫ অর্থ বছরে ইলিশের উৎপাদন অনেক বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য দেশের সকল নদ- নদীতে ইলিশ শিকার এবং বিপণন পরিবহণ ও মজুদকরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো সরকার। পাশা-পাশি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ভোলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভোলা নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস ডেস্ক