শহিদুল ইসলাম দোইচ, যশোর।।
যশোর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান(৫০)কে মারপিট করে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ’সময় দুর্বৃত্তরা প্রতিষ্ঠানটিতে লুটপাট ও তান্ডব চালিয়ে অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নেওয়া হশ। ভুক্তভোগী আহত হাফিজুর রহমান এখন যশোর জেনারেল হাসপাতালের মডেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৫ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় তলায়।

ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে জানান, হোমিওপ্যাথ কলেজে পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপ চলছিল। আমি আমার কক্ষে কলেজের কাজ করছিলাম। এ’সময় প্রতিষ্ঠানটির পিছনের বাড়ি বসবাস করে হবিবুর রহমান হবির নেতৃত্বে ১৬-১৭ জন দুর্বৃত্ত্ব আমার কক্ষে ঢুকে পড়ে। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা এসেই এলোপাাতাড়ি ভাবে আমাকে চড়, লাঠি, ঘুসি দিতে থাকে। এ’সময় আমার পকেটে থাকা মানিব্যাগ মোবাইল হাতিয়া নেয়। এবং একটি সাদা কাগজের জোর করে স্বাক্ষর নেয়। কারণ জানতে চাইলে অব্যাহতভাবে চড় থাপ্পড় মারতপ থাকে। আমার অফিস কক্ষে ঢাকা কাগজপত্র তছনছ করে। এবং প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায়।পরে আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই।

হাফিজুর রহমান জানান, আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল বাকী, ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডাক্তার আবুল হাসেম আমাকে মারপিটের ঘটনার সাথে জড়িত। ওই তিনজন শিক্ষকের সাথে আমার পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিল। জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার বিচিত্র মল্লিক বলেন, অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় নীলা-ফোলা জখম আছে। তবে তিনি সংখ্যা মুক্ত।

জানতে চাইলে, যশোর পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কিছুক্ষণ আগে ঘটনা জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যশোরের জেলা প্রশাসক মো.আজহারুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছি।অবশ্যই কেউ অপরাধ করলে তাকে আইন আমলে আনা হবে। বক্তব্য জানার জন্য হবিবুর রহমান হবিকে মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে হবি সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন। পূর্ব শত্রুতায় এ ঘটনার সাথে আমাকে জড়ানো হচ্ছে, সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে