শহিদুল ইসলাম দইচঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সোনার হরিণ শেখ হাসিনাকে হারিয়ে ভারতের মনোবেদনা থামছেই না। এই স্বৈরাচার খুনীকে যখন পৃথিবীর কেউ সমর্থন করেনি, পার্শবর্তী দেশ তখন তাকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ যখন একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছে, তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর পেছনেও বিদেশী শক্তির হাত রয়েছে বলে মানুষ মনে করছে। রিজভী বলেন, অমিত শাহ হুমকি দিচ্ছেন বাংলাদেশীদের উল্টো করে ঝোলাবেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশীদের উইপোকা বলেছিলেন। রিজভী ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক দিয়ে ছোটখাটো কোন দেশ নয়, ১৮ কোটি মানুষের দেশ। অমিত শাহদের এসব কথা ও আচরণ প্রমাণ করে তারা বাংলাদেশকে কখনোই বন্ধু মনে করে না।

রবিবার বিকেলে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। শহরের চৌরাস্তা মোড়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ গণসমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসানসহ যশোর জেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতেই সারাদেশে একের পর এক কৃত্রিম অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে। কারা এসব করছে তা সবাই জানে। তিনি বলেন বিচার বিভাগ ছিল শেখ হাসিনার জল্লাদখানা। এই জল্লাদখানার সব কসাই এখনও বিদায় হয়নি। তিনি বলেন, সারাদেশে সব ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বররা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের সন্ত্রাসী নেতা ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের গুন্ডা-পান্ডাদের চেয়ারম্যান মেম্বর বানিয়েছে। তারা এখনও পদে থাকে কী করে- প্রশ্ন করেন তিনি।

রিজভী বলেন, আগস্ট বিপ্লবের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই পালিয়ে গেছে, আবার অনেকেই ঘাপটি মেরে আছে। তাদের কাছে অনেক কালো টাকা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ঋন নিয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ৬০-৬৫ হাজার কোটি টাকার নামমাত্র উন্নয়নকাজ করেছে। বাকি সিংহভাগ টাকা পাচার করলেও কিছু টাকা দেশে থেকে গেছে। সেই টাকা দিয়েই অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে। নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুরোপুরি চালু না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

যশোর নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে