এস এম পারভেজ, ঝালকাঠি সংবাদদাতা।। ঝালকাঠিতে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েছেন ১৭ তরুণ-তরুণী। এই চাকরি পেতে অনলাইন আবেদন খরচ বাবদ জনপ্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা। কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন তারা। শনিবার (২৪ মার্চ) রাত্র ১০ ঘটিকার সময় জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল সেডে পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল। এতে ১৪ জন ছেলে এবং তিনজন মেয়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ সময় তাদের মিষ্টি খাইয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলা পুলিশ সুপার।

পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে আরিফ হাওলাদার বলছিলেন আমি কখনো ভাবিনি বিনা টাকায় আমার চাকরি হবে। মাত্র ১২০ টাকা খরচ হয়েছে আমার। আজ এখানে আসার জন্য ভাড়ার টাকা ছিল না। টাকা ধার করে এখানে এসেছি। আমি দোয়া করি পুলিশ সুপারকে আল্লাহতায়লা হায়াত বাড়িয়ে দিন। তিনি বিনা টাকায় আমাকে চাকরি দিয়েছেন। আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। আরিফের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নে। বাবা বেকার, মা কষ্ট করে সংসার চালান। গত বছর ভাইভা থেকে বাদ পড়ে এবছর ভালো প্রস্তুতি নিয়ে বিনা টাকায় নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ বিষয়ে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘নিজের যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ১৭ জন তরুণ-তরুণী চাকরি পেয়েছেন। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতা ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার সাঈদ, বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রেজওয়ান আহমেদ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লজিস্টিকস) মো. নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. মাসুদ রানা, সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ এ্যান্ড ইন্টেল.) রেজোয়ানা কবির প্রিয়া।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে