চলতি নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্ধারণ হচ্ছে তৈরি পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি। বর্ধিত এ বেতন ডিসেম্বরের এক তারিখ থেকে কার্যকর হবে। বুধবার (১ নভেম্বর) মালিক-শ্রমিক ও নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভা শেষে এ কথা জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা। এসময় তৈরি পোশাক মালিকদের প্রতিনিধি এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, মকসুদ বেলাল সিদ্দিকি, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনিসহ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বেতনের ক্ষেত্রে ৭টি গ্রেড থেকে পাঁচটিতে নিয়ে আসা। এখানে মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষই একমত হয়েছেন। তবে নূন্যতম মজুরি নিয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় নির্ধারণ হবে নূন্যতম মজুরি।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা ও শিল্প-উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট সামনে রেখে আমরা এ প্রস্তাবনা করেছিলাম গত সভায়। সব কিছু বিবেচনা করে মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা বৃদ্ধি করবো। আগামী সভায় লিখিত আকারে আমরা বোর্ডের কাছে উপস্থাপন করবো।
শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের অবস্থা দেখতে হবে। একই সঙ্গে শিল্পের অবস্থাটাও দেখতে হবে। এই দুই জায়গাতে সমন্বয় করেই নির্ধারণ হবে বেতন। মালিকদের মধ্যে অনেক মানবিক মানুষ আছেন তারা এগিয়ে আসবেন। পাঁচ বছরের জন্য মজুরি বৃদ্ধি হয়। তাই আগামী পাঁচটা বছর যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে থাকতে পারেন সে বিষয় বিবেচনায় নেবেন বলে আমি আশা করি। তিনি বলেন, আমরা যৌক্তিক শ্রমিক আন্দোলনকে সমর্থন করি। কিন্তু কোনো ভাঙচুর-বিশৃঙ্খলাকে সমর্থন করি না। সাম্প্রতিক আন্দোলনে অন্য কোনো পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে। আমার শ্রমিক ভাই-বোনেরা কারখানা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত না। এর আগে ২২ অক্টোবর বোর্ডের কাছে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা করার প্রস্তাব দেয় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি। একই দিন শ্রমিকপক্ষের প্রস্তাবের বিপরীতে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি নূন্যতম মজুরি মাত্র দুই হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার ৪০০ টাকার প্রস্তাব দেয়।