মাদকবিরোধী অভিযানের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধেও বড় ধরনের অভিযানে নামার পরিকল্পনা করছে সরকার। কঠোর হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানও। ঈদের পরই এ অভিযান শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অব্যাহত থাকবে খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযানও।
আগামী নির্বাচন পর্যন্ত জনগণের সাধুবাদ পেতে পারে এমন কাজকে প্রাধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।যেসব অপকর্মের কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও জনগণ উপকৃত হবে এমন পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।জনগণ যাতে সরকারকের উপর আস্থায় থাকতে পারে, ভোট দেয় সেই চিন্তা থেকেই এ পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রমতে, জনগণের বাহবা নিতেই হঠাৎ করে মাদকবিরোধী অভিযানে নেমেছে সরকার। এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধেও অভিযানে নামার কথা ভাবা হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান যেমন বাহবা কুড়িয়েছে, তেমনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে গেলেও সাধুবাদ পাওয়া যাবে।তবে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের বাইরে আরও কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সেই চিন্তা ভাবনাও চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) কীভাবে আরও কার্যকর করা যায় ভাবা হচ্ছে সেটিও। একইসঙ্গে চলবে খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযানও।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জনগণের সমর্থন রয়েছে এমন কাজ করার দিকে এই মুহূর্তে সরকারের বেশি মনোযোগ রয়েছে। কারণ, সামনে ভোটের হিসেব কষতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে।
রুজমিলা হক
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ