পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কবি নজরুলের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশেষ সমাবর্তনে সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা।
ডিগ্রি গ্রহন শেষে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কবি নজরুলের জন্ম ভারতে হলেও তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। মানুষের কল্যান ও অধিকার আদায়ে নজরুল বাঙ্গালীর চেতনায় জাগ্রত আছেন। তিনি এই সম্মান দুই দেশের বাঙ্গালীকে উৎসর্গ করেন। নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক চেতনার আলোকে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরের পাশে থাকবে বাংলাদেশ, জানান প্রধানমন্ত্রী। শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এবং গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র দূরীকরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য এই ডিগ্রি দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
গতকাল শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দঘন পরিবেশে ছিটমহল বিনিময় করেছি, বিশ্বে যা একটি বিরল ঘটনা। ভবিষ্যতেও যেকোন সমস্যা আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সমাধান করতে পারবো।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে, এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। এই অবদানের কথা অামরা ভুলবো না।’
পরে তিনি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করেন। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সবশেষে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ভারতের জন্য অনুকরণীয়। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে ভারত বাংলাদেশকে সব ধরণের সহযোগিতা ও পূর্ণ সমর্থন দেবে বলে জানান তিনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুবে বলেও আশা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির শহর আসানসোলের অনুষ্ঠানের পর নেতাজী সুবাসচন্দ্র বসুর বাড়িতে যাবেন শেখ হাসিনা। এবং সেখানে অবস্থিত জাদুঘর পরিদর্শন শেষে আজ রাতেই দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
নোমান রহমান
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ