মূল্যস্ফীতি, বিনিময় হারে অস্থিরতা, চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে না পারা, জ্বালানি সংকটে ব্যাহত উৎপাদন, বেসরকারি বিনিয়োগে মন্দাবস্থা, চাপের মুখে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদসহ নানামুখী সংকটে বর্তমানে অর্থনীতি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আইএমএফের শর্ত পরিপালনের তাগিদ। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে আগামীকাল রোববার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বিষয়ক নীতিই মুদ্রানীতি। বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার (যে সুদহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়) কমিয়ে দেয়। এতে টাকা সস্তা হয়, ঋণ বাড়ে, মানুষের হাতে বাড়তি টাকা আসে। আবার বাজারে অর্থের সরবরাহ কমাতে চাইলে নীতি সুদহার বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্য ও জ্বালানির দাম যেভাবে কমেছে, দেশে সেভাবে কমেনি। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ডলারের বিনিময় হার বেশি। আমদানি পণ্যের দাম বেশি দিতে হচ্ছে। ফলে দেশের মূল্যস্ফীতি এখন ১০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই। এ সময়ে আসছে নতুন মুদ্রানীতি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এবারের মুদ্রানীতি প্রণয়ন বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কী পদক্ষেপ নেয়া হয় তাই এখন দেখার বিষয়। তবে নির্বাচনের বছরে সুদের হার এবং বিনিময় ব্যবস্থা কতটা বাজারভিত্তিক করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় আছে অর্থনীতিবিদের।