অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের শঙ্কায় আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। নড়বড়ে ঘর উড়ে যাওয়া আর পাহাড় ধসের আতঙ্কে তারা। এরই মধ্যে ক্যাম্পে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লাল পতাকা।

আবহাওয়াবিদরা বলছে, মোখার প্রভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাঁশ, ছন, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ঘরগুলোকে উড়ে যেতে পারে। প্রশাসন বলছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ৮০ হাজার ঘর পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাস্তবে এ সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। পাহাড় ধ্বসের ভয়ে থাকা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, এখানে তুফান হবে বলছে সবাই। কোনদিকে যাবো ভাবছি, ভয়ও লাগছে। কারণ তুফান হলে আমাদের ঘর পাহাড়ের অনেক উপরে। আর কোন যাবার জায়গাও নাই। এখানে মাইকে সর্তক করছে। কোথায় যাব বুঝে উঠতে পারছি না। সবাই খুব ভয়ে আছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে জানান, কক্সবাজার উপকূলে মজবুত সবুজ বেষ্টনি নেই। তাই যেকোনো ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে এখানে বেশি বিপদের শঙ্কা রয়েছে। ঝড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাঁশ, ছন, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ঘরগুলোকে উড়িয়ে নিতে পারে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যারা থাকবে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন লার্নিং সেন্টার, মসজিদ, মাদ্রাসার মতো স্থাপনাগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হবে। এদিকে বিপদ সংকেত বাড়ার সাথে সাথে ক্যাম্পগুলোতে মাইকিংয়ের পাশাপাশি লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি। বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে