Bangladesh’s first-ever metro rail train during its first formal trial run on the viaduct in the capital has begun in Dhaka, Bangladesh, on August 29, 2021.

দেশে আধুনিক নগরায়নের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। বহু প্রতীক্ষার পর ঢাকায় চাকা ঘুরলো স্বপ্নের মেট্রোরেলের। সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই বলা হয়েছে, ঢাকার মেট্রোরেল আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন। যার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যাবে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করার পর এর ভূয়সী প্রশংসা করেছে খোদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।‌ ককপিটে মহিলা চালক, ঢাকা মেট্রো আরও অনেক ক্ষেত্রেই টেক্কা দিচ্ছে কলকাতাকে’ এমন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি।

আনন্দবাজার বলছে, বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূচনা করেছেন ঢাকা মেট্রোরেল পরিষেবার। ট্রেনটি আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত কয়েকটি স্টেশনে অল্প সময়ের জন্য চললেও মাস কয়েকের মধ্যে নিয়মিত পরিষেবা শুরু হবে। তবে পরিষেবা পুরোদমে চালু হওয়ার আগেই পদ্মা পাড়ের মেট্রো বেশ কয়েকটি বিষয়ে টেক্কা দিয়েছে গঙ্গাপারের মেট্রোকে। এতে আরও বলা হয়, তুলনা হওয়ার কথা নয়। কারণ, বাংলা (কলকাতার) মেট্রোরেলের ইতিহাস ৩৮ বছরের পুরনো। বাংলাদেশের মেট্রো তার কাছে ‘সদ্যোজাত’ দুধের শিশু। তবে ঢাকা মেট্রো বুঝিয়ে দিয়েছে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আধুনিকতায় পিছিয়ে নেই তারা।

আনন্দবাজারের ওই পুরো প্রতিবেদনজুড়ে ঢাকার মেট্রোরেলের আধুনিক সব প্রযুক্তি ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, তিনতলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক স্টেশন, সংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটার সুবিধা, স্মার্ট কার্ড, নির্ঝঞ্ঝাট যাতায়াতে র‌্যাপিড পাসের ব্যবস্থা, স্টেশনে ওঠা-নামার জন্য লিফট-এসকালেটরের সুবিধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য বিশেষ সুবিধা, প্রতি সাড়ে ৩’মিনিট অন্তর স্টেশনে ট্রেন থামা, স্টেশন প্লাজায় গাড়ি পার্কি ও খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা, দুর্ঘটনা এড়াতে ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর’–এর ব্যবস্থা, ট্রেনের দরজার স্বয়ংক্রিয় ভাবে খোলা এবং বন্ধ হওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরা হয়। এ’ছাড়া ঢাকা মেট্রোরেলে নারী চালক থাকার বিষয়টিও প্রতিবেদনে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোরেলের সূচনা সফরের প্রথম মেট্রোটিই চালিয়েছেন এক নারী চালক। তার নাম মরিয়ম আফিজা। তবে তিনি ছাড়াও থাকছেন আরও ৬ জন নারী চালক। যেখানে কলকাতার মেট্রোরেলে এখনও পর্যন্ত একজনও নারী চালক নেই।

আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদনে কলকাতার তুলনায় ঢাকার মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি হলেও আধুনিক প্রযুক্তি আর উন্নত সুযোগ-সুবিধার বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে