বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে চিলাহাটি থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করতে চায় ভুটান। চিলাহাটি রেলস্টেশন পরিদর্শন করে ভুটানের একটি প্রতিনিধিদল এ কথা জানিয়েছে। চিলাহাটি রেলপথ ব্যবহার করা গেলে স্বল্প খরচে ও কম দূরত্বে, বেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি রেল বিভাগের রাজস্ব আয়ও বাড়বে কয়কগুণ। বর্তমানে ভারত থেকে যাত্রীবাহী মিতালি এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী ট্রেন চিলাহাটি রেলস্টেশন হয়ে বাংলাদেশে চলাচল করছে। এবার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে ও আমদানি-রপ্তানি খরচ কমাতে এই রেলপথ ব্যবহার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভুটান।
সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কনসালট্যান্টসহ ভুটানের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেছে। তারা বলছেন, এই রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মোংলা বন্দর দিয়ে সহজে বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে। আর চিলাহাটি স্থলবন্দরে সুযোগ বাড়লে বাণিজ্যের ক্ষেত্রও বাড়বে। ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমল প্রধান বলেন, চিলাহাটি রেলপথ দুই দেশের বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখবে। আমরা এখানে এসেছি বাণিজ্যিকভাবে এই পথ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে।
বাংলাদেশের এডিবি কনসালট্যান্ট ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, মোংলা বন্দরের সঙ্গে খুলনার যে রেললাইন এখন যুক্ত হচ্ছে, তা শেষ হলে ভুটান এ মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। চিলাহাটি রেলবন্দর যদি পরবর্তীতে স্থলবন্দরে পরিণত হয়, ইমিগ্রেশন সুবিধা হয়, সে ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব বহুগুণে বেড়ে যাবে। বর্তমানে বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করছে বাংলাদেশ ও ভুটান। তবে দুই দেশের মধ্যে চিলাহাটি রেলপথে যোগাযোগ বাড়লে মোংলা বন্দর থেকে কম খরচে বেশি পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে, কমবে দূরত্বও।
পাকশীর বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ জানান, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি পুরোদমে শুরু হলে, রেল বিভাগের রাজস্ব আয় কয়কগুণ বাড়বে এবং ধকল কমবে। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের সক্ষমতা না থাকলেও ২০২৪ এর ডিসেম্বরে ২৯০টি ওয়াগন এবং ১৯০টি ওপেন ওয়াগন আসলে আমরা রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা করতে পারি।