দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ নিয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। যেখানে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি বেড়েছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। আর এক বছরে বৃদ্ধি ৩৩ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬৬ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকের ২ হাজার ৯৭০ কোটি ও বিশেষায়িত ব্যাংকের ৪ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো যে ঋণ বিতরণ করছে, তার ৬ দশমিক ২০ শতাংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা মোট ঋণের ২৩ শতাংশই খেলাপি। বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ৪ দশমিক ৭৭। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১২ শতাংশ খেলাপি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, করোনার সময় ব্যাংক ঋণ আদায়ে বিশেষ ছাড় ও বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দয়া হয়েছিলো। কিন্তু বছরের শুরুতে এই সব সুযোগ বাতিল করায় খেলাপি ঋণ বাড়ছে।