সড়ক পরিবহন আইন পাস হওয়ার চার বছর পরেও বিধিমালা হয়নি। ফলে পুরোপুরি কার্যকর হয়নি আইনটি। এতে সড়ক-মহাসড়কে বিশৃঙ্খলাও বন্ধ হচ্ছে না। চলতি বছরের ৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, এই সময় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী কমাতে দ্রুত বিধিমালা করে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় গত এক যুগে বরাদ্দ যেমন বেড়েছে উন্নয়নও হয়েছে ব্যাপক। কিন্তু সড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু না কমে আরও বেড়েছে। বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, চলতি বছরের ৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। যার ৭০ শতাংশই মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার। গেলো এক বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ার জন্য যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, রুট পারমিট ও চালকদের অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন করে সরকার। কিন্তু চার বছর পেরিয়ে গেলেও এই আইনের আওতায় বিধিমালা না হওয়ায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি আইনটি। চালকদের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ চালক তৈরি, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, সড়কের ত্র“টি নির্ধারণসহ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জাতীয় কমিটির ১১১ দফা সুপারিশও রয়ে গেছে কাগজে কলমে। নতুন আইন কার্যকর ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।