করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় পর্যটন ভিসা। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আগামী ১৫ই নভেম্বর থেকে সবার জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে ভারতের পর্যটন ভিসা।

আগামী ১৫ই নভেম্বর থেকে পর্যটন ভিসায় ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশিরাও। থাকছে না কোয়ারেন্টিন অথবা বাড়তি কোন নিয়ম মানার ঝামেলা। তবে করোনার অন্যান্য বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতে হবে। ডিবিসি নিউজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশী পর্যটকদের স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে ভারতও উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইসামী জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ভিসা চালু হচ্ছে। করোনার সকল বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। কারণ, ভারত-বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আমরা চাইনা। কোয়ারেন্টিন লাগবেনা, আলাদা করে বিশেষ কোন ব্যবস্থারও প্রয়োজন নেই।

দীর্ঘ বিরতির পর ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে কেনা অ্যাস্ট্রেজেনেকার তৈরি করোনার টিকার আরেকটি চালান এসেছে শনিবার। বাকী ২ কোটি ২২ লাখ টিকাও পর্যায়ক্রমে চলে আসবে বলে আশাবাদী ভারতীয় হাই কমিশনার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ আমরা বলেছিলাম, টিকা উৎপাদনের পর বাংলাদেশ হবে প্রথম দেশ যারা আমাদের থেকে টিকা পাবে। আমরা আমাদের কথা রেখেছি। আগামী মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের ক্রয় করা টিকা আসতে শুরু করবে।’

এরমধ্যে চীন থেকে কেনা সিনোফার্মাসহ কোভ্যাক্সের আওতায় অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা এসেছে। ভারত থেকে কেনা টিকা আসা বন্ধ থাকায় দুইদেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দোরাইসামীর বলেন, ‘দুইদেশের সম্পর্কে প্রভাব কোন প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশের টিকার প্রয়োজন ছিল তাই তারা সেটার ব্যবস্থা করেছে। এতে আমরা খুশিই হয়েছি। বন্ধুদেশ হিসেবে যা করার আমরা চেষ্টা করছি।’এসময় পর্যটক ভিসার ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির উপর সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।

তথ্যঃ ডিবিসি নিউজ

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে