বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএমসিসিআই) সভাপতি সাব্বির এ খান বলেছেন, মালয়েশিয়ায় সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ছে। এজন্য দেশটির প্রচুর দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। এ খাতে তারা বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহী। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে বিএমসিসিআই সেক্রেটারিয়েট অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সেমিকন্ডাক্টর বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর সময়ের চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিএমসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএমসিসিআই) একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সভাপতি শাব্বির এ খানের নেতৃত্বে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়া সফর করেন। ওই সফরে তারা মালয়েশিয়া এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস সেক্রেটারিয়েটসহ বিভিন্ন সন্সথার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের বিষয় তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএমসিসিআই। সাব্বির এ খান বলেন, মালয়েশিয়া ডিজিটাল ইকোনমিক কর্পোরেশন (এমডিইসি) জানিয়েছে, দেশটিতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে দক্ষ প্রকৌশলীদের বড় চাহিদা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, দ্রুতই এমডিইসির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হবে। এতে বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে কাজ করার পথ সুগম হবে। সাব্বির এ খান জানান, চলতি বছর ৬ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী মালেয়শিয়ায় পড়তে গেছেন। গত বছর ছিল এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার। ‘এই শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ বিবিএ, এমবিএসহ নন-টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়তে যায়। বাংলাদেশ থেকে যেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়তে যায়, সেই বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করব,’ বলেন তিনি।

বিএমসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ থেকে কীভাবে আরও বেশি পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেই বিষয়য়েও কথা হয়েছে বিভিন্ন সভায়। এক প্রশ্নের জবাবে সাব্বির এ খান বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্রুত এফটিএ (মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) স্বাক্ষর প্রয়োজন। মালয়েশিয়া প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলেও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি মাত্র ৩৭৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর মালেয়শিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম, পাম অয়েলসহ ৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি করে বাংলাদেশ।

বিএমসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১৫ লাখ বাংলাদেশি কাজ করেন। তবে সেই তুলনায় রেমিট্যান্স কম আসে। এর কারণ অনেকে দেশটির গ্রামীণ অঞ্চলে কাজ করেন। তারা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে বাংলাদেশে টাকা পাঠান না। তারা বৈধভাবে টাকা পাঠাতে শহর এলাকায় যেতে চান না। ‘আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে বাংলাদেশে তারা যেন টাকা পাঠাতে পারেন, সেজন্য ওখানকার ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সঙ্গে আমরা কাজ করছি,’ বলেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে