শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা, কাষ্টমসসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করলেও তাদের ওপর সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই। উল্টো রয়েছে সমন্বয়ের ঘাটতি। ফলে নিরাপত্তার ফোঁকফোকর গলে ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ও উদ্বেগজনক ঘটনা। সব নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে একটি শিশুর উড়োজাহাজে উঠে বসার ঘটনায় এসব ঘাটতি সামনে এসেছে। সিভিল এভিয়েশন আইনেও এসব সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা নেই।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া সব নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে একটি শিশুর উড়োজাহাজে উঠে বসার ঘটনায় হইচই পড়ে গেছে সিভিল এভিয়েশনে। বিমানবন্দরে ঢুকবার মূল সড়ক থেকে শুরু করে মূল ভবনে প্রবেশ ও উড়োজাহাজে উঠা পর্যন্ত ১১ ধাপে নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হতে হয়। এপিবিএন, আনসার, ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমস, এয়ারলাইনস, সিভিল এভিয়েশনসহ কয়েকটি সংস্থা দায়িত্ব পালন করে। সবগুলোর নিয়ন্ত্রক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এতগুলো ধাপ বিনা বাধায় বিনা চেকে পার হয়ে একটি শিশুর উড়োজাহাজে উঠে বসার ঘটনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের ব্যর্থতা স্বীকার করে। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও জবাবদিহিতার অভাব আছে। এসব সংস্থার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেয়ার আইনি এখতিয়ার সিভিল এভিয়েশনের নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আইনে বিমানবন্দরের সব সংস্থার কর্মপরিধি, জবাবদিহিতা ও শাস্তির বিধান করার দাবি বেবিচক কর্তৃপক্ষের। একইসঙ্গে জনবল সংকটের কথাও বলেন তারা। শাহজালাল বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশনের এক হাজার জনবলের মধ্যে বর্তমানে আছে ৫শ’জন। তিনি জানান, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে প্রয়োজন হবে আরো ৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে