মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেও যুদ্ধদিনের আগুনঝরা গান সংরক্ষণ না হওয়ায় হতাশ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-কুশলীরা। তার চান রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সম্পন্ন হোক এই কাজ। নইলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে একাত্তরের ইতিহাস।
বাংলাদেশ জন্মের সঙ্গেই জড়িয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নাম। বিপ্লবী সেই বেতার কেন্দ্রের বারুদগন্ধী একেকটি গান রণাঙ্গণে যোদ্ধার হাতিয়ার। সম্প্রতি এর শিল্পী-কলাকুশলীরা পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। এবছর একুশে পদক পাওয়া সুরকার সুজেয় শ্যাম জানাচ্ছেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও যুদ্ধদিনের সেই আগুনঝড়া গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি রাষ্ট্র। অসহযোগ আন্দোলনে সোচ্চার শিল্পীরাই, শুরুতে চট্টগ্রামের কালুরঘাট, পরে কোলকাতায় কাজ করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের হয়ে। ২৬শে মার্চ শুরু আর ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনে প্রচার তাদের সবশেষ অনুষ্ঠান।
স্বাধীনতা দিবসে সব কণ্ঠযোদ্ধারই চাওয়া, রণাঙ্গণের সেই গান-অনুষ্ঠান সংরক্ষণ ও শোতার কাছে পৌঁছানো হোক রাষ্ট্রের উদ্যোগে। এসব হারিয়ে গেলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যুদ্ধদিনের ইতিহাস।
অনলাইন ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ