বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরবর্তী নদী ভাঙন। এরইমধ্যে রংপুর, লক্ষ্মীপুর ও ফরিদপুরে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, কৃষিজমিসহ নানা স্থাপনা। ঘর-বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার অসংখ্য মানুষ।

বন্যায় পানি কমার সাথে সাথেই রংপুরে তিস্তার ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। যা মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪০ হাজার পরিবারের কাছে। এরইমধ্যে গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় কয়েকটি ইউনিয়নে ভাঙন তীব্র আকার নিয়েছে। প্রতিদিন নদীতে চলে যাচ্ছে বসতঘর, ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

রংপুরে ৬০’কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। ভাঙন নিয়ন্ত্রণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব। মেঘনার ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার কয়েক’শ পরিবার। অনেকেই আতঙ্কে সড়িয়ে নিচ্ছেন স্থাপনা। ভাঙন প্রতিরোধে নেয়া কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বালু সংকটে তিন মাস বন্ধ ছিল বাঁধের নির্মাণ কাজ। তবে দ্রুত কাজ শেষ করা চেষ্টা চলছে। এদিকে, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মধুমতির ভাঙন প্রকট হয়েছে। প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হচ্ছে রাস্তা, বাড়িঘর, গাছপালা। এছাড়া, পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙনের কবলে পড়েছে সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন।

নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে