রিফাত ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি।।বছর ঘুরে আসে রমজান। প্রত্যেক রমজানে একটি মাস সওম পালন করেন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। সকল অত্যাচার,অনাচার,পাপাচার দূরে ঠেলে সৃষ্টিকর্তার আদেশ পালনে মশগুল হয়ে ওঠে মুসলমান জাতি। প্রতি বছরের ন্যায় ধরায় এবারও চলছে পবিত্র মাহে রমজান। সারা বিশ্বের মুসলিম জাতিসত্তা পালন করছে আত্মসংযমের মাস।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে পালন করছেন রোজা পরবর্তী ইফতার অনুষ্ঠান। বশেমুরবিপ্রবির সেন্ট্রাল মাঠে অংশগ্রহণমূলক ইফতার আয়োজন করছে বিভিন্ন বিভাগ, সংগঠন ও স্বতন্ত্র শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।রমজান মাসে ইফতারের সময় এক ভিন্ন রূপ দেখা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সেন্ট্রাল মাঠে। বছরের অন্যান্য সময় সন্ধ্যায় গান-বাজনা, আড্ডা, পিকনিক, খেলায় মত্ত থাকলেও রমজান মাসে ইফতার সামগ্রী নিয়ে শিক্ষার্থীরা মাঠে বসেন আজানের অপেক্ষায়। সারাদিন রোজা রেখে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার এর সমাগম স্থল এখন বশেমুরবিপ্রবির সেন্ট্রাল মাঠ। সংযমের এ মাসে বন্ধুদের মধ্যে আত্মার সঙ্গম হয় ইফতারের মাধ্যমে।

সারাদিন সওম পালনের পরে শিক্ষার্থীদের একত্রিত হয়ে ইফতার আয়োজন যেনো মনমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করে বশেমুরবিপ্রবির সেন্ট্রাল মাঠে। রমজান যেমন শেখায় সহমর্মিতা,সংযম,আত্মশুদ্ধি। তেমন ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত ফুটে উঠে বশেমুরবিপ্রবি সেন্ট্রাল মাঠের ইফতার আয়োজনে।ইফতারের আগে সেন্ট্রাল মাঠে সার্কেল আকারে বসা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। খবরের কাগজের ওপর কিংবা পাতলা থালায় বাইরে থেকে কিনে আনা ইফতার পরিবেশন করে তারা। পরিবেশনের পর সবার অপেক্ষা মাগরিবের আজানের। অধিকাংশের ইফতারের মেন্যুতে থাকে ছোলা, মুড়ি, খেজুর, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, শরবত ইত্যাদি। সঙ্গে হরেক রকমের ফলও। এখানে ইফতার করতে আসা অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠণের শিক্ষার্থী।

ইফতার আয়োজনে অংশ নেয়া পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শফিকুল হাসান ইমন জানান, “ইফতার আয়োজনে সেন্ট্রাল মাঠ আমার প্রথম পছন্দ। এখানে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারের মজাই আলাদা। এখানে সকলেরসাথে নিজেদেরমতো ইফতার করতে পেরে ভালো লাগা কাজ করছে।”

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু বলেন, এটা আমার জন্য অন্যরকম অনুভূতি। এর আগে খবরের পাতায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একত্রে ইফতারের কথা শুনতাম। এখন সেইসব আয়োজনে নিজে উপস্থিত থাকতে পেরে খুবই আনন্দিত বোধ করছি।”

উল্লেখ্য, শুধু সেন্ট্রাল মাঠ নয় বশেমুরবিপ্রবির বিভিন্ন স্থানে- প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মাঠ, লেকের পাড়, টিলার পাদদেশ এবং ফুড পয়েন্ট এলাকা জুড়ে সন্ধ্যায় দেখা যায় সরব ইফতার আমেজ।

বশেমুরবিপ্রবির নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে