গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের মধ্যেই সিটিং ও গেটলক সার্ভিসের নামে কোনো বাস চলবে না বলে জানিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। আগামী ৩ দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলেও জানায় সংগঠনটির নেতারা।
এ বিষয়ে বাসমালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সময়ের পর কেউ সিটিং ও গেটলক সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠনটি।বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
রাজধানীর পরীবাগে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে নেতারা বলেন, তালিকা দেখিয়ে কিলোমিটার হিসাবে বাসের ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে। কোনো পরিবহন বাড়তি ভাড়া নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ঢাকায় ৬ হাজার বাসের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজি-চালিত।
এসব বাসে বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে বিআরটিএর পাশাপাশি পরিবহন সংগঠনগুলোও মাঠে থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।এদিকে, বিআরটিএর অভিযানে নামার পরও রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাড়তি ভাড়া নেয়া বন্ধ হয়নি। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার ২৭ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও দেড় থেকে দুই গুণ বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।এ নিয়ে প্রতিটি বাসে যাত্রীদের সঙ্গে হট্টগোল লেগেই আছে। এই নৈরাজ্য বন্ধে রাজধানীজুড়ে আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিআরটিএ।
সরকার নতুন বাস ভাড়া নির্ধারণের পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ভাড়ার তালিকা টাঙানো হয়নি অধিকাংশ বাসে। ফলে যাত্রীদের জিম্মি করে নেয়া হচ্ছে বেশি ভাড়া ।যাত্রীরা বলছেন, কোথাও অভিযানের খবর পেয়ে মাঝে মধ্যে তালিকা বের করলেও যাত্রীদের তা দেখানো হচ্ছে না। তবে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ মানতে নারাজ চালক-হেলপাররা।ভাড়ার নৈরাজ্য বন্ধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে বিআরটিএর আটটি ভ্রাম্যমান আদালত। সিএনজি চালিত বাসে বাড়তি ভাড়া নেয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে করছে জরিমানা। আটক করা হচ্ছে বাস।
অনিয়ম তদারকিতে বিআরটিএর পাশাপাশি কাজ করছে ডিএমপির দুটি ভ্রাম্যমান আদালতও।সরকার ২৭ শতাংশ ভাড়া বাড়ালেও তার থেকে অনেক বেশি ভাড়া নেয়ার প্রমান মিলেছে বিআরটিএর অভিযানে।
তথ্যঃ ইন্ডিপেনডেন্ট