ভাড়া বাড়ানোর আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিতের পর পণ্যবাহী যান চলাচল পুরোদমে শুরু হয়েছে। তবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও।চালের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকার মত বেড়েছে। এদিকে ঊর্ধ্বমুখী তেল, ডাল, চিনির মত নিত্যপণ্যের দামও।অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির প্রভাবে আরো চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার ডিজেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে পণ্যবাহী যান চলাচল কয়েকদিন বন্ধ রাখে মালিক ও শ্রমিকরা।পরে সোমবার ৩০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়ার পর মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে চলাচল শুরু করেছে ট্রাক কাভার্ড ভ্যান। সকালে মোহাম্মদপুর চালের আড়তে দেখা যায়, একের পর এক ভিড়ছে বিভিন্ন মোকাম থেকে আসা ট্রাক।দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, নাটোরসহ উত্তরবঙ্গের দূরপাল্লার ট্রাকে ভাড়া বেড়েছে আরো বেশি। এছাড়া, গত সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধের সুযোগে মিলমালিকরা দাম বাড়ায় একদফা।সবমিলিয়ে চালের বাজার আরো গরম। খুচরা বাজারে সরু চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৮ টাকায়। মাঝারি আকারের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে ৫৬ টাকায়।পাইকারি দোকানদাররা জানান, গেল দুই তিনমাসে কয়েক দফায় ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ময়দার মত নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বাড়ায় সেসব পণ্যের দামও বাড়তি।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও পরিবহন খরচ কয়েক স্তরে বাড়ে। তাই সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় আসা পরিবহনের ভাড়া বাড়ায় এরই মধ্যে পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম। যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে আরো বেশি।
তথ্যঃ ইন্ডিপেনডেন্ট