পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পর্যটন শহর কক্সবাজারে আটকা পড়েছেন অন্তত ২০ হাজার পর্যটক। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীদেরও। তবে আটকে পড়া পর্যটকদের জরুরি বিবেচনায় চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিনা খরচে পৌঁছে দেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে ধর্মঘট পালন করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন। এমন কর্মসূচিতে যারা ঘুরতে এসেছেন সমুদ্র সৈকতে এখন বিপাকে পড়েছেন তারা।নিজস্ব পরিবহনে কেউ কেউ যেতে পারলেও আটকা পড়েছেন অনেকে। তাদের অসুবিধার কথা ভেবে অনেক হোটেল-মোটেলে ছাড় দিচ্ছেন মালিকরা।এছাড়া আটকে পড়াদের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন হলে, তা বিবেচনার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এমন পরিস্থিতিতে আটকে পড়া পর্যটকদের চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা পুলিশ। এজন্য তাদের পুলিশ লাইনে যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে।এই মুহূর্তে আটকে পড়েছেন অন্তত ২০ হাজার পর্যটক। এদের মধ্যে আর্থিক ও কর্মস্থলে সংকট তৈরির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও বিভিন্ন বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, গাড়ির জন্য অসংখ্য পর্যটকরা ঘুরছেন। গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় তারা ফিরতে পারছেন না। তাদের অনেকে হোটেল কক্ষ ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকের আবার বাজেট শেষ হওয়ায় পড়েছেন চরম বিপাকে।
বিশেষ প্রয়োজন থাকায় কেউ কেউ দ্বিগুণের বেশি ভাড়ায় মাইক্রোবাস বা অন্য ছোট পরিবহন ভাড়া করে রওনা হয়েছেন। কেউ আবার বিমানে কক্সবাজার ছেড়েছেন। কিন্তু আটকা পড়াদের মধ্যে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে যাদের অতিরিক্ত ভাড়া দেয়ার সামর্থ্য নেই এবং ভ্রমণের জন্য নিয়ে আসা নির্দিষ্ট বাজেট শেষ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, ধর্মঘটের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে যেতে পারছেন না। মৌসুমের শুরুতে পর্যটক আগমনে এমন বিঘ্ন ঘটায় পর্যটন শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন পর্যটনসংশ্লিষ্টরা।
তথ্যঃ ইন্ডিপেনডেন্ট