ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। ফলে উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। মধ্যাঞ্চলেও নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। ঢাকার আশপাশে বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যা ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এসব এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
পদ্মা-মেঘনার উজানে পানি কমছে। তবে দুর্ভোগ কমেনি এই দুই নদীর অববাহিকার বন্যা কবলিত এলাকায়। জেলার পানিবন্দি প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। ৩৬৫ পরিবার এখনও থাকছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে। পদ্মার স্রোতে ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে অন্তত ২৮ টি পয়েন্টে।
মাদারীপুরের শিবচরে ৭ টি ই্উনিয়নে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়ি ঘর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ১০ টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি। এদিকে আড়িয়াল খা নদের পানি বাড়ায় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ফরিদপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফের ভাঙনে ধসে গেছে ৪৫ মিটার।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা কবলিত ৬ উপজেলায় বানভাসী তিন লাখ মানুষ।
কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। তবে দুর্ভোগ কমেনি। বন্যার কারণে ব্রহ্মপূত্র অববাহিকায় এখনো পানিবন্দি হাজারো মানুষ।
জামালপুরে এক মাস ধরে পানিবন্দি দশ লাখ মানুষ। পানিবন্দি এবং বাঁধে আশ্রিতরা শুধুমাত্র ৮/১০ কেজি চাল ত্রাণ ছাড়া কিছুই পায়নি বলে অভিযোগ করছেন।
ঢাকার আশপাশের নদ-নদীর পানি বেড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন নতুন এলাকা। গত কয়েক দিনে বন্যার পানিতে সাভার ও ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত শতাধিক মাছের ঘেরে পানি ঢুকে ভেসে গেছে ঘের। এখনও মুন্সিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সিরাজদিখানের সবকটি গ্রাম। নতুন করে পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ। এদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে থাকায় শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ২০টি ইউনিয়নের প্রায় ১৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি। নষ্ট হয়েছে আমন বীজতলা ও সবজি ক্ষেত।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ