আল-জাজিরায় সাক্ষাৎকার দিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের তরুণ রায়হান কবিরকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। শুক্রবার গ্রেপ্তারের পর তাকে রাখা হয়েছিল টর্চার সেলে। এতে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছে, এ ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, রায়হানকে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে।
করোনা মহামারীর মধ্যে অভিবাসীদের সঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারের আচরণ মানবিক নয়- এ বিষয়ে আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন বাংলাদেশি তরুণ রায়হান কবির। তেসরা জুলাই তা নিয়ে- লকড আপ ইন মালয়েশিয়াস লকডাউন, শিরোনামে প্রতিবেদন প্রচার করে সংবাদমাধ্যমটি। এঘটনায় আল-জাজিরার কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মালয়েশিয়া সরকার। পরে বাতিল করা হয় রায়হানের ওয়ার্ক পারমিট। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। রাখা হয় টর্চার সেলে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ বলেন, বাংলাদেশি এই নাগরিককে ফেরত পাঠানো হবে এবং তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে, যেনো আর কখনোই মালয়েশিয়ায় আসতে না পারে।
তবে এ ঘটনায় রায়হান কবিরের কোনো অপরাধ দেখছেন না অভিবাসন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, আল জাজিরার সে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেশ কটি দেশের নাগরিকেরা কথা বলেছেন, কিন্তু তাদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। রায়হানকে ফেরাতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলছেন অভিবাসন বিশ্লেষক আসিফ মুনীর। এ ঘটনায় আল জাজিরা জানিয়েছে, শতভাগ পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে, এজন্য দুঃখপ্রকাশও করা হয়নি। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি মালয়েশিয়া।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ