বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে চলতি সপ্তাহে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বন্যার আরো অবনতির আশংকা সংশ্লিষ্টদের। উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।
ত্রাণ পর্যাপ্ত না পাওয়ায় দুর্গত এলাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। মধ্যাঞ্চলের সড়কে পানি ওঠায় বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখনও ভারতের মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত। পাহাড়ি ঢলে দু দফা বন্যার কবলে পড়ে উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চল। আবার মৌসুমী বৃষ্টিতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। পানি বেড়েছে উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদ নদীর।
সুনামগঞ্জে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি এখনও সরেনি। তার ওপর এই বৃষ্টিতে তৃতীয় দফা বন্যায় এসব এলাকার পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সুরমার পানি বাড়ায় শহরেও ঢুকছে পানি। এরই মধ্যে পানিবন্দি প্রায় ৩ লাখ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আরও ২ থেকে ৩ দিন পানি বাড়তে পারে।
নেত্রকোণায় জেলার সবকয়টি নদীর পানি আবারো বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ করলেও সবাই এর আওতায় নেই বলে অভিযোগ দুর্গতদের। একই অবস্থা শেরপুর-জামালপুরে। দুই দফা বন্যায় ২৫ দিন ধরে চরম দূর্ভোগের শিকার জেলার প্রায় ১২ লাখ মানুষ । খাদ্য সংকটে রয়েছে দিনমজুর ও নিম্নআয়ের পরিবার।
শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দুটি কজওয়েতে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ৫দিন ধরে উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে শরীয়তপুর। ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের অন্তত ২০টি পয়েন্টে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় ব্যহত যান চলাচল। একই অবস্থা ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা। এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে হুমকির মুখে নির্মানাধীন পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাধ প্রকল্প।
মানিকগঞ্জে যমুনা ও পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মানিকগঞ্জ। বন্যায় দৌলতপুরের ৮টি ও হরিরামপুরের ১৩ ইউনিয়ন প্লাবিত। এদিকে উত্তরাঞ্চলে নদনদীর পানি কমলেও বইছে এখনও বিপৎসীমার ওপরে। যে কারণে কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ এ অঞ্চলের বেশ কয়েক জেলায় অপরবির্তিতত বন্যা পরিস্থিতি।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ